খুবই কমন একটি সমস্যা। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়ষ্ক সবাই এই সমস্যায় ভূগতে পারেন।
শুধুমাত্র পায়খানা শক্ত হলেই কোষ্ঠকাঠিন্য বলা যায় না।
কোষ্ঠকাঠিন্য বলা যায় যদি :
- গত এক সপ্তাহে আপনার কমপক্ষে ৩ বার পায়খানা না হয়
- পায়খানা শুকনো, শক্ত হয়
- পায়খানার বের করতে ব্যথা অনুভুত হয়
- পেটে ব্যথা হতে পারে এবং ফুলে যাওয়া বা অসুস্থ বোধ হতে পারে
কি কারনে হয়?
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার যুক্ত খাবার (যেমন ফল, শাক সবজি) না খাওয়া
- পর্যাপ্ত পানি পান না করা
- হাঁটাচলা না করা
- ব্যায়াম ও শারীরিক নড়াচড়া না করা
- টয়লেটে যাওয়ার তাগিদ উপেক্ষা করা
- আপনার ডায়েট বা প্রতিদিনের রুটিন পরিবর্তন করা
- ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- চাপ, উদ্বেগ বা হতাশা
- গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের পর ৬ সপ্তাহের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য খুব স্বাভাবিক।
আপনি কি করবেন?
আপনার খাবারদাবার ও জীবন যাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে।
- প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন
- খাবারে ফাইবার বাড়ান। এই খাবারগুলোতে ফাইবার থাকে- শুকনো মটরশুটি, ওট, ওট ব্র্যান, বার্লি, সাইট্রাস ফল, আপেল, স্ট্রবেরি, মটর এবং আলু। এছাড়াও গমের ভুষি, পুরো শস্য, সিরিয়াল, বীজ এবং ফল এবং শাকসবজি ইত্যাদি।
- নিয়মিত একই স্থানে টয়লেট ব্যবহার করুন এবং নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দিন।
- এখন আপনার পায়খানার অনুভূতি হয়, তখন দেরি করবেন না
- নিয়মিত হাঁটাচলা শারীরিক ব্যায়াম করুন
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
এসব কিছু চেষ্টা করার পরও যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য না কমে তাহলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। এছাড়াও-
- ঔষধ খেয়েও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য না কমে
- অনেক লম্বা সময় ধরে এই সমস্যা থাকে
- এই সমস্যার কারণে আপনার পেট ফুলে যায়
- পায়খানার সাথে রক্ত আসে
- আপনার ওজন হঠাৎ করে কমে যায়
- সব সময় আপনার ক্লান্ত বোধ হয়
এই সমস্যাগুলো হলেও তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
চিকিৎসক কি করবেনঃ
আপনার কাছ থেকে আপনার সমস্যা শুনে, এবং বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করে দেখবেন। বেশিরভাগ সময় কোষ্ঠকাঠিন্য খুব বড় সমস্যা নয়। কিছু ঔষধ ও উপরিউক্ত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মানে পরিবর্তনের সাথে সাথে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সতর্কতাঃ
অনেক লম্বা সময় ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে বসে থাকবেন না। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করা সত্ত্বেও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য না কমে তাহলে শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ খান।
আমাদের প্রতিটি লিখা চিকিৎসক দ্বারা লিখিত ও সম্পাদিত। এই ওয়েবসাইটে চিকিৎসক বলতে নুন্যতম এম বি বি এস ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের বোঝানো হয়। এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা সচেতনতামূলক এবং চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়।
Pingback: টাইফয়েড - From a Doctor