দাঁতের ব্যথা হচ্ছে দাঁত বা আশেপাশের কাঠামোতে ব্যথা। গুরুতর হলে এটি ঘুম,খাওয়া এবং অন্যান্য দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে। যতো দ্রুত এর চিকিৎসা করানো হবে, দাঁত ততো ভালো রাখার সম্ভাবনা বেশি।
কীভাবে ব্যথার সৃষ্টি হয়?
দাঁতের মজ্জার স্নায়ু কোন কারণে আক্রান্ত হলে ব্যথার সৃষ্টি করে। গরম বা ঠান্ডা খাবার খাওয়ার ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত দাঁতের ব্যথা স্থায়ী হলে ধারনা করা হয় পাল্প বা মজ্জা আক্রান্ত হয়েছে। পরবতীর্তে দাঁতের গোড়া, হাড় কে সংক্রমিত করতে পারে।
কারণ:
- মজ্জা প্রদাহ
- দাঁতে ক্ষয় বা গর্ত
- দাঁত ভাঙ্গা
- আলগা বা ভাঙ্গা ফিলিং
- ইনফেকশন
- দাঁতের ফোড়া
- মাড়ির সংক্রমণ
- দাঁত ছাড়া অন্য কারণ- সাইনাস এর প্রদাহ, অ্যানজাইনা পেকটোরিস
লক্ষণ বা উপসর্গ:
- ঠান্ডা বা গরম খাবার গ্রহণে ব্যথা
- রাতে তীব্র ব্যথা
- জ্বর আসা
- পুঁজ বের হওয়া
- মাড়ি লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে উঠা, মাড়ি থেকে রক্তপাত
ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে বাসায় কী করবেন?
- লবণ হালকা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে কুলকুচি করবেন
- ব্যথানাশক (প্যারাসিটামল) গ্রহণ করতে পারেন
- মিষ্টি, খুব গরম বা ঠান্ডা শক্ত খাবার খাবেন না
- ধূমপান করবেন না
কখন দন্ত চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
- দাঁতের ব্যথা শুধু ঔষধ খেয়ে কখনো পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না, অবশ্যই দাঁতের ভেতরে চিকিৎসা করাতে হয়
- ব্যথা যদি ২ দিনের বেশি স্থায়ী হয়
- ব্যথানাশক খাওয়ার পরেও না কমলে
- গাল বা মাড়ি ফুলে গেলে
- খুব বেশি জ্বর, কামড়ে ব্যথা, মাড়ি হয়ে গেলে, দাঁতরে গোড়া থেকে পুঁজ বের হলে
চিকিৎসাঃ
দাঁত ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় এবং তার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। যেমন-
- ফিলিং বা ভরাট
- দাঁতের মজ্জার চিকিৎসা বা রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট
- দাঁত তোলা ইত্যাদি
দাঁতে ব্যথা হলে যত তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় ততই মঙ্গল।
প্রতিরোধঃ
১. নিয়মিত দাঁতের চেক-আপ কারানো কমপক্ষে ৬ মাস অন্তর অন্তর।
২. সঠিক নিয়মে দিনে অন্তত দুইবার ব্রাশ করা সকালে( নাস্তার পর এবং রাতে খাবার পর)
৩. নিয়মিত ডেন্টাল ফ্লস ও মাউথওয়াশ ব্যবহার করা।
৪. দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় মিষ্টিজাতীয় খাবার কম রাখা।
পরিণতি:
দাঁতের মজ্জার সংক্রমণ সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে সেটা চোয়ালের হাড় এবং আশেপাশের নরম টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আমাদের প্রতিটি লিখা চিকিৎসক দ্বারা লিখিত এবং সম্পাদিত। এই ওয়েবসাইটে চিকিৎসক/ডাক্তার বলতে নুন্যতম এম বি বি এস বা বি ডি এস ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের বোঝানো হয়। এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা সচেতনতামূলক এবং চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়।