From a Doctor

দাঁত শিরিশির বা দাঁতে সেনসেটিভিটি

দাতঁ শিরশির করা, কিভাবে মুক্তি পাবেন

ঠান্ডা, গরম, মিষ্টি কিংবা টক কিছু খেলে প্রচন্ড ধরে,শিরশির করে বাক্যটি খুবই পরিচিত  এবং প্রতিনিয়তই শুনতে হয় ডেন্টাল সার্জনদের। এটি অনেক সময় সহনীয়  হলে ও বেশিরভাগ  ক্ষেত্রে  তীব্র হয়,যা আমাদের জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটায় ৷ 

কীভাবে  হয়ঃ

আমরা  খালি চোখে দাঁতের  যে অংশ  দেখতে পাই তার নাম এনামেল। এটি হল দাঁতের  সবচেয়ে বাইরের আাবরন। তার নিচে থাকে ডেন্টিন। বিভিন্ন কারণে যখন দাঁতের  সবচেয়ে উপরের  আবরন  ক্ষয় হয়ে ডেন্টিন বের হয়ে  যায়  তখন দাঁতে শিরশির অনুভূতি হয়।

কারনঃ

১.ভুলভাবে, বেশি জোরে ব্রাশ করলে বা শক্ত ব্রিসলস টুথব্রাশ ব্যবহার করলে  এনামেল ক্ষয় হয়।

২.সূক্ষ দানাদার দাঁতের মাজন বা কয়লা ব্যবহার করা 

৩.যেসব খাবারের মধ্যে ক্যামিকেল থাকে এসব খাবার বেশি খাওয়া। যেমনঃ কোল্ড ড্রিংকস, ঠান্ডা খাবার, আ্যলকোহল

৪.দীর্ঘ  সময় ধরে মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে।

৫.দুঘর্টনায় দাঁত ভেঙে গেলে। 

৬.দাঁতের  বিভিন্ন চিকিৎসা যেমন ঃরুট ক্যানাল,ক্রাউন    প্লেসমেন্ট  এবং দাঁতের ফিলিং ইত্যাদি।

৭.মাড়ির ক্ষয়। 

লক্ষনঃ

১.ঠান্ডা, গরম,মিষ্টি, বা টক জাতীয় খাবার খেলে দাঁত শিরশির  হয়।

২.অসস্তিকর অনুভূতি হওয়া খাওয়ার  সময়। 

৩.অনেকের ক্ষেত্রে ব্যথা অনুভূত হয়।

৪.দাঁত  ব্রাশ করার  সময় ব্যথা বা অসস্তি হওয়া।

কি করবেন?

১.বাজারে ডিসেনসিটাইজিং টুথপেষ্ট  পাওয়া যায়, টুথপেষ্ট  আঙুলে কিছু পরিমাণ নিয়ে মাড়ি ও দাঁতে লাগিয়ে ১-২ মিনিট রেখে দিতে হবে।তারপর সঠিক পন্থায় ব্রাশ করে  ফেলতে  হবে। 

২. হালকা কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে কুলিকুচি করবেন। 

৩. যে অংশে শিরশির  হয় সে অংশে অনেকেই  ব্রাশ করতে চান না,কিন্তু  ব্রাশ না করলে  আরো বেড়ে যায়।

 

চিকিৎসাঃ

১.দাঁত  স্কেলিং বা ওয়াশ করা হয়

২.ফ্লুরাইড সমৃদ্ধ টুথপেষ্ট ব্যবহার করতে বলা হয়।

৩.ফ্লুরাইড  ভার্নিস দেয়া হয়।

৪.অনেক সময় ফিলিং করা হয়।

 

প্রতিরোধঃ

১.নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে  হবে এবং ব্রাশ করার  সময়  হবে ২-৩ মিনিট সঠিকভাবে উপর নিচ করে।

২.ফ্লুরাইড টুথপেষ্ট  ব্যবহার করতে  হবে। 

৩.ক্যামিকেলযুক্ত খাবার ত্যাগ করতে  হবে। 

৪.কয়লা, দানাদার  দাঁতের  মাজন  ব্যবহার করা  যাবে না।

৫.ছয় মাস অন্তর  অন্তর  ডেন্টিস্ট এর কাছে চেক আপ করাতে হবে।

৬.সকালে এবং  রাতে দুই  বেলা  ব্রাশ করতে হবে।

 

 

লিখেছেন,

ডা অনন্যা দেব আঁখি
বি ডি এস
আমাদের প্রতিটি লিখা চিকিৎসক দ্বারা লিখিত এবং সম্পাদিত। এই ওয়েবসাইটে চিকিৎসক/ডাক্তার বলতে নুন্যতম এম বি বি এস বা বি ডি এস ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের বোঝানো হয়। এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা সচেতনতামূলক এবং চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়