কারো শরীরে রক্তের পরিমান স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকলে সেটাকে রক্তস্বল্পতা বলা হয়। কারনভেদে বিভিন্ন ধরনের রক্তস্বল্পতা আছে। আমাদের দেশে মানুষের শরীরে আয়রন ঘাটতি জনিত কারনে রক্তস্বল্পতা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও অপুষ্টিও রক্তস্বল্পতার একটি গুরুতবপূর্ণ কারন।
আয়রন ঘাটতি জনিত রক্তস্বল্পতাঃ
এই ধরনের রক্তস্বল্পতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের দেখা যায়। কোন কারনে শরীর থেকে অত্যধিক রক্ত বের হয়ে গেলে বা গর্ভধারনের কারনেও এই রক্তস্বল্পতা দেখা যায়। ডাক্তারি ভাষায় একে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়া বলে।
কেন হয়ঃ
- খাবারে আয়রন কম থাকলে
- কোন কারনে শরীর থেকে রক্ত বেশি বের হলে
এছাড়া-
- বিভিন্ন ব্যথার ঔষুধ যেমন ইবুপ্রুফেন, এসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক ইত্যাদি খেলে
- খাদ্যনালীতে প্রদাহ
- পাকস্থলীতে আলসার হলে
- পাইলস
- পেটের বিভন্ন ক্যান্সারে।
লক্ষনঃ
- ক্লান্তি
- শক্তির অভাব
- নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
- বুক ধড়ফড়
- চামড়া ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া
আপনি কি করবেন?
আপনি যদি মনে করেন আপনার শরীরে রক্তের অভাব সৃষ্টি হয়েছে তাহলে আয়রন ঘাটতি পুরনের জন্য আপনার খাবারে পরিবর্তন আনতে হবে।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার-
- গরু,খাসি, মহিসের মাংস
- সবুজ রঙের শাক সবজি
- বিভিন্ন মটরশুটি এবং ছোলা
- বাদাম
- লিভার (তবে গর্ভাবস্থায় এটি খাবেন না)
- শুকনো ফল – যেমন খেজুর
- সয়া
যে খাবারগুলো পরিহার করে চলবেনঃ
- চা
- কফি
চিকিৎসাঃ
আয়রন ঘাটতি জনিত রক্তস্বল্পতা আয়রন ঘাটতির কারন অনুসারে চিকিৎসা করা হয়। এক্ষেত্রে আপনার খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন থেকে শুরু করে কিছু ওষুধও দেয়া হতে পারে।
এই সমস্যা যদিও খুব সাধারন কিন্তু লম্বা সময় কোন চিকিৎসা না করালে অনেক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।
সতর্কতাঃ
- রক্তস্বল্পতা থাকলে যেকোন অসুস্থতা এবং ইনফেকশনের সম্ভাবনা বাড়ে
- হার্টের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে
- গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা বাচ্চার এবং মায়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এজন্য গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চেকাপ করাতে হবে।