মহিলাদের স্তনে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হতে পারে। বেশিরভাগ সময়ই এই ব্যথা মাসিকের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
যদিও সবারই সমস্যা হয় না কিন্তু অনেক নারীদের মাসিকের সময় স্তনে ব্যথা অনুভূত হয়। এর নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য গুলো থাকতে পারে-
- খুব হালকা থেকে খুব বেশি ব্যাথা
- মাসিকের দুই সপ্তাহ আগে থেকে ব্যথা শুরু হতে পারে। মাসিকের দিনগুলি ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ব্যথা বাড়তে থাকে, এবং মাসিক শেষ হয়ে গেছে ব্যাথা কমে যায়।
- বেশিরভাগ সময়ই স্তনে ব্যথা করে এবং মাঝে মাঝে এ ব্যাথা বগল পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়।
মাসিকের সময় ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের স্তনে ব্যথা হতে পারে। যেমন-
- কাঁধে, ঘাড়ে বা পিঠে ব্যাথা পেলে এই ব্যাথা স্তনের ব্যথা হিসেবে অনুভূত হতে পারে
- গর্ভনিরোধক বড়ি এবং কিছু এন্টিডিপ্রেসেন্ট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়
- স্তনের বিভিন্ন প্রদাহের কারণে
- গর্ভাবস্থায়
আপনি কি করবেনঃ
- মাসিক জনিত স্তনে ব্যথার কারণে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খেতে পারেন
- সঠিক মাপ অফিস অনুযায়ী ব্রা পরিধান করবেন
- ঘুমানোর সময় নরম কাপড়ের ব্রা পরিধান করবেন
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেনঃ
- প্যারাসিটামল খাওয়ার পরও যদি ব্যথা না কমে
- ব্যথার সাথে যদি জ্বর থাকে
- স্তনের কোন জায়গায় যদি ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায়
- আপনার পরিবারের কারও স্তন ক্যান্সার হওয়ার ইতিহাস থাকলে
সতর্কতাঃ
- আপনার স্তনের ব্যাপারে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
- স্তনে কোনো শক্ত গোটা আছে কিনা
- স্তনের বোঁটা থেকে কোন তরল পদার্থ বের হচ্ছে কিনা যেটা দেখতে রক্ত বা পুঁজ এর মত
- স্তনের চামড়া কমলার খোসার মতো লাগছে কিনা
- স্তনের বোটা ভেতরে ঢুকে গেছে কিনা
এরকম কোন কিছু দেখলে সাথে সাথে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।এরকম সমস্যায় কোনভাবেই ঘরোয়া চিকিৎসা করবেন না। বাংলাদেশ এবং পৃথিবীতে স্তন ক্যান্সার সহ স্তনের বিভিন্ন সমস্যায় অনেক নারী আক্রান্ত হন। অনেকে লজ্জায় এসব বিষয়ে কারো সাথে কথা বলতে চান না। আপনার নিকটস্থ হাসপাতালে নারী চিকিৎসক বা সেবিকাদের কাছে এসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে পারেন। এছাড়াও আপনার বাড়িতে যেসব স্বাস্থ্যকর্মী যান, তাদের মধ্যে থেকে নারী স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। অবহেলা করবেন না, সুচিকিৎসা নিন।