From a Doctor

হাইপোথাইরয়েডিজম

হাইপোথাইরয়েডিজম কি, কিভাবে চিকিৎসা করা হয়

আপনার থাইরয়েড গ্রন্থি যখন পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করে না তখন শরীরের এই অবস্থাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে।

 

আপনার গলায়, চামড়ার নিচে, শ্বাসনালীর সামনে থাইরয়েড গ্লান্ড থাকে। ছবিতে লাল রঙ্গয়ের থাইরয়েড গ্লান্ড দেখা যাচ্ছে।

থাইরয়েডের হরমোন শরীরের বিভিন্ন কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়।

এই রোগের খুব ভালো চিকিৎসা আছে।

হাইপোথাইরয়েডিজম এর লক্ষণ সমূহ:

হাপোথাইরয়েডিজমের লক্ষনগুলো খুব ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়। সাধারিন লক্ষনগুলো হলো-

  • অতিরিক্ত ক্লান্তি
  • নরমাল তাপমাত্রায় ঠান্ডা লাগা
  • ওজন বৃদ্ধি
  • ঘুমাতে সমস্যা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য
  • বিষন্নতা
  • ধীর গতিবিধি
  • ধীর চিন্তা-ভাবনা
  • পেশী ব্যথা এবং দুর্বলতা
  • পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া
  • শুষ্ক এবং খসখসে চামড়া
  • ভঙ্গুর চুল এবং নখ
  • যৌনশক্তি ও ইচ্ছা কমে যাওয়া
  • ব্যথা, অসাড়তা এবং হাত এবং আঙ্গুলের মধ্যে শিরশির করা 
  • অনিয়মিত বা ভারী পিরিয়ড।
  • বয়স্কদের স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে
  • বাচ্চাদের এই রোগ থাকলে তারা শারিরিক ও মানসিকভাবে বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে

কেন হয়ঃ

  •        আয়োডিন কম খেলে বা না খেলে।
  •        হাইপোথাইরয়েডিজম অনেক সময় আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেম থাইরয়েড গ্লান্ডকে আক্রমনের কারনে হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা পারিবারিক হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যাদের এই সমস্যা থাকে তাদের ডায়বেটিস জাতীয় সমস্যাও হতে পারে।
  •        অনেকের আগে থাইরয়েড সার্জারী হলে এটা হতে পারে।

কিভাবে এই রোগ নির্ণয় করা হয়ঃ

আপনার চিকিৎসক আপনার লক্ষন শুনে যদি মনে করেন এই রোগ হতে পারে তাহলে আপনাকে কয়েকটি টেস্ট দিবেন।

এর মধ্যে সরাসরি থাইরয়েডের হরমোন কতোটুকু আছে সেটা দেখার টেস্টও দিবেন। এই টেস্টগুলো খুব ভালো ল্যাবে করানো জরুরি কারন সব জায়গায় এই টেস্টগুলোর একুরেট রেজাল্ট আসে না।

টেস্ট করে আপনার হাইপোথায়রয়েডিজম পাওয়া গেলে আপনি এই বিষয়ের বিশেষজ্ঞ এন্ড্রোকাইনোলজিস্টদের শরনাপন্ন হয়ে বাকি চিকিৎসা নিবেন।

চিকিৎসা:  

এই রোগের খুব ভালো চিকিৎসা আছে। আপনাকে নিয়মিত খাওয়ার জন্য ওষুধ দেয়া হবে। এই ঔষুধ একদিনও মিস দেয়া যাবে না।

গর্ভধারণ:

আপনার যদি হাইপোথাইরয়েডিজম থাকে তাহলে গর্ভধারন করার আগে আপনার এন্ড্রোক্রাইনোলজিস্ট এর সাথে কথা বলে নিবেন। তিনি বলে দিবেন কিভাবে ওষুধ খেতে হবে।

আপনি কি  করবেনঃ

এই রোগ প্রতিরোধ করার উপায় খুব একটা নেই। কিন্তু আমাদের দেশে আয়োডিন ঘাটতি একটি বড় সমস্যা। এজন্য আয়োডিনযুক্ত লবন খেতে হবে। আয়োডিনযুক্ত শাক সবজি ও মাছ সম্ভব হলে খাবেন। এই রোগ হলে চিন্তা করবেন না। ভালো চিকিৎসা আছে। শুধু নিয়ম মেনে ওষুধ খেলেই সব ঠিক থাকবে।