From a Doctor

করোনা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট; সতর্ক না হলে মহাবিপদ

কোভিড১৯ এর  ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (B1617.2) ,২০২০ এর ডিসেম্বরে ভারতে প্রথম সনাক্ত হয়। ভারতে এই ভ্যারিয়েন্ট মানবিক মহাদুর্যোগ সৃষ্টি করেছে। লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে এবং কয়েক হাজার পর্যন্ত মারা যাচ্ছে। আমাদের দেশেও এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার কারনে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। 

আপনার যা জানা দরকারঃ 

এটি খুব দ্রুত ছড়ায়ঃ 

এখন পর্যন্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পৃথিবীর ৭৪ টি দেশে পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যে এটি খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট আগেরগুলোর চেয়ে  চেয়ে ৪৩% থেকে ৯০% বেশি সংক্রমণযোগ্য বলে মনে করা হয়। 

কম বয়সীদেরও আক্রান্ত করছেঃ

 যুক্তরাজ্যে, গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই ভ্যারিয়েন্টে  ৫০ বছরের কম বয়সীদের এবং বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ২.৫ গুণ বেশি।

এই ভ্যারিয়েন্টে রোগের তীব্রতা বেশিঃ

 আগের করোনা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ , যেহেতু এই ভ্যারিয়েন্টের রোগের তীব্রতা বেশি। আক্রান্ত রোগীরা দ্রুত খারাপ অবস্থার দিকে যায়। 

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণঃ যুক্তরাজ্য থেকে পাওয়া ডাটা অনুসারে সবচেয়ে কমন লক্ষনগুলো হচ্ছে- 

  • মাথা ব্যথা
  • গলা ব্যথা
  • সর্দি
  • জ্বর

আগের করোনা ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতো এই ভ্যারিয়েন্টে কাশি আর গন্ধহীনতা সচরাচর থাকে না। এজন্য অনেকে মনে করেন এটা সাধারণ সর্দি-জ্বর। যার কারনে পরিবারের এবং আশেপাশের সবার মাঝে এটি আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

নিজেকে ও অন্যকে  কিভাবে রক্ষা করবেনঃ

  • ভ্যাকসিন নেয়াই সবচেয়ে বড় সুরক্ষার পথ। তাই সুযোগ এলেই ভ্যাকসিন নিয়ে নিতে হবে। 
  • সরকার নির্দেশিত নীতিমালা মেনে চলতে হবে। 
  • মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোঁয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এগুলো সবই এখনো প্রয়োজনীয়।
  •  পরিবারের কারো সর্দি-জ্বর হলে তিনি আলাদা কক্ষে একা থাকতে হবে কমপক্ষে ১৪ দিন। 
  • নিজের এরকম লক্ষন থাকলে ঘরের বাইরে যাবেন না, বাজারে বা যেসব জায়গায় লোকসমাগম হয় সেখানে যাবেন না। 

 

লিখেছেন,
এম বি বি এস
এম এস সি ক্যন্ডিডেট, ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজ
দ্য ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা,ইউ কে
আমাদের প্রতিটি লিখা চিকিৎসক দ্বারা লিখিত এবং সম্পাদিত। এই ওয়েবসাইটে চিকিৎসক/ডাক্তার বলতে নুন্যতম এম বি বি এস বা বি ডি এস ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের বোঝানো হয়। এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা সচেতনতামূলক এবং চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়