টনসিল কি?
টনসিল হল আমাদের দেহে লিম্ফয়েড অঙ্গ গুলির একটি যা আমাদের রোগপ্রতিরোধে ভুমিকা রাখে এবং আমাদের মুখগহ্বর দিয়ে জীবাণু প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
টনসিলাইটিস কি?
টনসিলের প্রদাহকে টনসিলাইটিস বলে।
সাধারণত টনসিলাইটিস বলতে আমরা প্যালাটাইন টনসিলের প্রদাহের সাথেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত,যা গলার দুই পাশে কন্ঠনালীর পিছনে অবস্থিত।
টনসিলাইটিস কেন হয়?
শীতকালে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণত কমে যায়,বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টনসিলাইটিস হয়ে থাকে অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার বা স্যাঁতস্যাঁতে ঠান্ডা আবহাওয়া,অতিরিক্ত ঠান্ডায় বা অতিরিক্ত গরমে ঋতু পরিবর্তনের সময়।
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে টনসিলাইটিস হতে পারে,এটা সাধারণত ঠান্ডা জ্বরের মত হয়ে থাকে এবং গলার দুই পাশের টনসিল লাল হয়ে ফুলে যায়।
কাদের বেশি হয়?
বাচ্চারা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে এটি যে কোন বয়সে হতে পারে।
লক্ষন কি?
- প্রচন্ড গলাব্যথা।
- ঢোক গিলতে সমস্যা হওয়া।
- জ্বর।
- কাশি।
- মাথাব্যথা।
- কানে ব্যাথা।
- ক্লান্ত অনুভব করা।
টনসিলের প্রদাহ মারাত্মক হলে
- ঘাড়ের লিম্ফনোড ফুলে যেতে পারে।
- টনসিলে সাদা সাদা দাগ দেখা যেতে পারে।
- মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে।
প্রতিকার কি?
- টনসিলাইটিস নিজে থেকে ৩-৭ দিনের মধ্যে কমে যেতে পারে। এই সময়ে-
- বিশ্রাম নিতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করতে হবে।
- প্রাথমিক পর্যায়ে ঠান্ডা খাবার পরিহার করতে হবে।
- কুসুম গরম লবণ পানিতে বারবার কুলকুচি করতে হবে।
- মুখগহ্বর পরিষ্কার রাখতে হবে।
- প্রয়োজনে প্যারাসিটামল গ্রহণ করা যাবে।
যদি ৭ দিনের মধ্যে প্রদাহ না কমে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- প্রদাহ যদি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হতে পারে।
- যদি প্রদাহ দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল হয় অপারেশনের (টনসিলেকটমি) মাধ্যমে টনসিল অপসারণ করতে হতে পারে।
লিখেছেন,ডা ফেরদৌসী রশিদবি ডি এস
