From a Doctor

Monkeypox মাঙ্কিপক্স কিভাবে ছড়ায়

মাঙ্কিপক্স থেকে বাঁচার উপায়

মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাল সংক্রমণ। এটি প্রধানত মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকায় হয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন।

মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হবার পর লক্ষণগুলি সাধারণত ৫ থেকে ২১ দিন পরে শুরু হয়। লক্ষণগুলি প্রায়ই ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। 

মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলি:

  • উচ্চ তাপমাত্রা (জ্বর)
  • মাথাব্যথা
  • পেশী এবং পিঠে ব্যথা, 
  • কাঁপুনি এবং ক্লান্তি সহ ঠান্ডা লাগার মতো লক্ষণ
  • ঘাড়ে, বগলে বা কুঁচকিতে ছোট ছোট গ্রন্থি ফুলে যাওয়া
  • মুখে বা যৌনাঙ্গে ফোস্কা বা ফুসকুড়ির মতো (পক্সে যেরকম হয়) শুরু হতে পারে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে

মাঙ্কিপক্স ফুসকুড়ি দেখতে অনেকটা চিকেনপক্স এর মতো। এজন্য বর্তমানে চিকেন পক্সের মতো লক্ষন দেখা দিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

কিভাবে মাঙ্কিপক্স ছড়ায়

মাঙ্কিপক্স মানুষের মধ্যে খুব সহজে ছড়ায় না। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থেকে মাঙ্কিপক্স হতে পারে:

  • ফোস্কা বা স্ক্যাব স্পর্শ করা 
  •  আক্রান্ত ব্যক্তির চামড়ার সাথে চামড়া লাগলে
  •  আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌনমিলন করলে
  • মাঙ্কিপক্স ফুসকুড়ি, ফোসকা আছে এমন ব্যক্তির দ্বারা ব্যবহৃত কাপড়, বিছানা, তোয়ালে বা ব্যক্তিগত জিনিস স্পর্শ করলে
  • মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচি থেকে

মাঙ্কিপক্সের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি কমাতে কি করবেন:

  • মাঙ্কিপক্স থাকতে পারে এমন কারো সাথে যৌন মিলন সহ অন্যান্য ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন
  • মাঙ্কিপক্স ফুসকুড়ি বা ফোস্কা থাকতে পারে এমন কোন ব্যক্তির কাপড়, বিছানা বা তোয়ালে স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন
  • মাঙ্কিপক্স থাকতে পারে এমন ব্যক্তির কাশি এবং হাঁচি এড়িয়ে চলুন
  • অসুস্থ বন্ধু এবং আত্মীয় যাদের মাঙ্কিপক্স থাকতে পারে তাদের সাথে দেখা করলে বা যত্ন নিলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন যেমনঃ বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া। 
মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা 

বেশিরভাগ রোগী ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিজ থেকে ভালো হয়ে যায়।

কিছু ক্ষেত্রে যদি একজন ব্যক্তি খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

আপনি যদি মনে করেন যে আপনার মাঙ্কিপক্স আছে ,কি করবেন?

আপনার রোগ নিশ্চিত না হওয়া  পর্যন্ত আপনার বাড়িতে থাকা উচিত। অন্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলা উচিত এবং ফোনের মাধ্যমে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

 

আমাদের প্রতিটি লিখা চিকিৎসক দ্বারা লিখিত ও সম্পাদিত। এই ওয়েবসাইটে চিকিৎসক বলতে নুন্যতম এম বি বি এস ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের বোঝানো হয়। এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা সচেতনতামূলক এবং চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়