ক্যান্সার একটি মরনব্যাধি।বিভিন্ন ক্যান্সারের মধ্যে মুখের ক্যান্সার অন্যতম।এই ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয় এমন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম।আনুমানিক শতকরা নব্বই ভাগ মুখের ক্যান্সারই হল স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার,অধিকাংশ ক্ষেএে ঠোঁট এবং মুখগহ্বরে শুরু হয়, আরো গভীরভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে যখন বিস্তৃতি লাভ করে।
কারণঃ
১.তামাক জাতীয় পদার্থ সেবন
২.অতিরিক্ত পান, সুপারি, গুলপাতা সেবন।
৩. অতিরিক্ত এলকোহল সেবন
৪.দীর্ঘসময় সূর্যালোকে থাকা হয়
৫.মহিলাদের চেয়ে পুরুষরা ঝুঁকিতে রয়েছেন বেশি।
৬.অনকোজেনিক ভাইরাস দিয়ে সংক্রামিত হলে।
মুখের ক্যান্সারের স্থানঃ
- মুখের ফ্লোরের ক্যান্সার,
- মাড়ির ক্যান্সার,
- ঠোঁটের ক্যান্সার,
- জিহবার ক্যান্সার,
- লালাগ্রন্থির ক্যান্সার,
- তালুর ক্যান্সার,
- গালের ভেতরের ক্যান্সার।
লক্ষনঃ
১.মুখ বা ঠোঁটের দীর্ঘদিনের ঘা।
২.মুখের ভেতর বা বাইরে অসাবভাবিক পিন্ড বা গোটা দেখা যায়
৩.দাঁত পড়ে যাওয়া।
৪.গিলতে ব্যথা বা অসুবিধা বোধ করা
৫.গলায় পিন্ড দেখা দেওয়া।
৬.কানে, জিহবায়,চোয়ালে ব্যথা বা অবশতা
৭.নিচের ঠোঁট, গলা,গালের অবশতা
যদি ও মুখে ঘা কানে ব্যথা অন্য অসুখে দেখা যায়, উপরের লক্ষনগুলো একসাথে দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
প্রতিরোধঃ
১.নিয়মিত দাঁতের এবং মুখের যত্ন নেয়া।
২.তামাক জাতীয় পদার্থ এবং এলকোহল বর্জন করা।
৩.ফলমূল এবং সবজি খাওয়া।
৪.নিয়মিত শরীরচর্চা করা।
৫.বছরে দুইবার চেক-আপ করানো।
চিকিৎসাঃ
নিভর্র করে ক্যান্সার কোন ধাপে আছে এবং কতদূর ছড়িয়েছে।
১.সার্জারি
২.রেডিওথেরাপি
৩.কেমোথেরাপি
লিখেছেন ,ডা অনন্য দেব আঁখিবি ডি এস