From a Doctor

যৌনাঙ্গে চুলকানোর কারনঃ ছত্রাক সংক্রমন বা থ্রাশ

যৌনাঙ্গে চুলকানোর কারনঃ ছত্রাক সংক্রমন বা থ্রাশ

থ্রাশ

থ্রাশ বা যৌনাঙ্গে ছত্রাক সংক্রমন মহিলাদের বেশ কমন একটি সমস্যা, কিন্তু এটি পুরুষদেরও হতে পারে। এটি একটি যৌন সংক্রমণ (STI) নয়।

এটি খুব মারাত্মক কোন সমস্যা নয় কিন্তু এটা হলে খুব অসস্থিবোধ হয় ।

লক্ষণ

অনেক ক্ষেত্রে থ্রাশের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকবে না।

কিন্তু যৌনাঙ্গে বেশি ছড়িয়ে পড়লে এটি উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।

মহিলাদের মধ্যে থ্রাশের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • সাদা যোনি স্রাব (বেশ ঘন, অনেকটা জমে যাওয়া নারকেল তেলের মত), এতে সাধারনত কোন গন্ধ থাকে না
  • যোনির চারপাশে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া করা
  • সহবাসের সময় বা প্রস্রাব করার সময় ব্যথা 

পুরুষদের মধ্যে থ্রাশের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • লিঙ্গের মাথার চারপাশে এবং ত্বকের নীচে জ্বালা, জ্বলন এবং লালভাব
  • একটি সাদা স্রাব 
  • বাজে গন্ধ
  • সামনের চামড়াপিছনে নিতে অসুবিধা

থ্রাশের কারণ কী?

  • স্কিন কন কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হলে
  • অ্যান্টিবায়োটিক এর সাইড ইফেক্ট হিসেবে
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্র্নে না থাকলে
  • দুর্বল ইমিউন সিস্টেম থাকলে – কেমোথেরাপি নিচ্ছেন, ডায়বেটিস আছে, টিবি আছে বা এইডস আক্রান্ত হলে
  • আপনি হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি (HRT) নিচ্ছেন
  • গর্বাবস্থায় ঝুকি বেড়ে যায়
  • আপনি যৌনাঙ্গে এমন পণ্য ব্যবহার করেন যা ত্বকের ক্ষতি করে যেমন সুগন্ধি পণ্য, বুদ্বুদ স্নান (বাবল বাথ)  বা যোনি ধোয়ার পণ্য

কখন চিকিৎসা পরামর্শ পেতে হবে

  • আপনার প্রথমবার থ্রাস হলে
  • ১৬ বছরের কম বয়সী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী হলে
  • বারবার হলে (১২ মাসে ৪ বারের বেশি)
  • আগে থ্রাশের চিকিত্সা কাজ না করলে
  • আপনি গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন
  • আপনার রোগ প্রতিরক্ষা দূর্বল হলে যেমন আপনার যদি , ডায়াবেটিস , এইচআইভি বা কেমোথেরাপির দেয়ার কারনে

 

চিকিৎসা

আপনার থ্রাশের লক্ষণ এবং উপসর্গ থাকলেই চিকিত্সা সহজ এবং প্রয়োজনীয়। আপনাকতসাবিভিন্ন ঔষুধ

  • যৌনাঙ্গে প্রয়োগ করার জন্য অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম
  • ভ্যাজাইনাল পেসারি (ট্যাবলেট যা আপনি আপনার যোনির ভিতরে ঢুকিয়ে ব্যাবহার করবেন)
  • মুখে খাওয়ার ওষুধ

আপনার ডাক্তার আপনাকে বলবেন কিভাবে ঔষুধ ব্যবহার করতে হবে।

নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিত্সা নেয়া এবং লক্ষণগুলি চলে গেলেও কোর্স শেষ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি যদি অতীতে থ্রাশে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং লক্ষণগুলি জানেন তবে ফার্মেসি থেকে একই ওষুধ কিনে আগের মতো ব্যহহার করতে পারেন।

চিকিত্সা চলাকালীন সময়ে সহবাস এড়িয়ে চলা ভালো।

থ্রাশের লক্ষণ ও উপসর্গ না থাকলে আপনার সঙ্গীর চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।

কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়

 

  • যৌনাঙ্গ ধোয়ার পরে সঠিকভাবে শুকিয়ে নিন
  • সুতির অন্তর্বাস পরুন
  • থ্রাশ পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সেক্স এড়িয়ে চলুন
  • সেক্স করার সময় নিশ্চিত করুন যে যোনি ভালভাবে লুব্রিকেটেড
  • যৌনাঙ্গে বা কাছাকাছি সাবান ব্যবহার করবেন না
  • শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার জাতীয় পণ্য আপনার যৌনাঙ্গে দেবেন না
  • স্নানের সময় বাবল বাথ, এসেনশিয়াল অয়েল বা সাবান বা শাওয়ার জেল ব্যবহার করবেন না কারণ এগুলো যৌনাঙ্গের ত্বকে গিয়ে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করবে
  • যৌনাঙ্গের ত্বকে ভেজা ওয়াইপ ব্যবহার করবেন না
  • যৌনাঙ্গ ধোয়ার পন্য ব্যবহার করবেন না – এমনকি যদি তারা বলে যে তারা পিএইচ ভারসাম্যপূর্ণ কারণ তারা যোনিতে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া ব্যাহত করে, সাধারন পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন
  • টাইট আন্ডারওয়্যার, আঁটসাঁট পোশাক, টাইট ট্রাউজার বা জিন্স পরবেন না
  • অতিরিক্ত ফ্যাব্রিক সফটনার ব্যবহার করবেন না

উপরের পরামর্শগুলো সাধারনত যাদের বারবার ত্রাশ হয় তাদের জন্য। যাদের এখনো হয় নি তারাও এগুলো ফলো করলে এই সমস্যাটি এড়িয়ে চলতে পারবেন।

 

আমাদের প্রতিটি লিখা চিকিৎসক দ্বারা লিখিত ও সম্পাদিত। এই ওয়েবসাইটে চিকিৎসক বলতে নুন্যতম এম বি বি এস ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের বোঝানো হয়। এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা সচেতনতামূলক এবং চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়