From a Doctor

মুখে দুর্গন্ধ বা হ্যালিটোসিস

মুখে দুর্গন্ধ বা হ্যালিটোসিস, কিভাবে মুক্তি পাবেন

মুখে দুর্গন্ধ অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে সেটা উদ্বেগ এর কারন হতে পারে।

মুখে দুর্গন্ধ এর ধরনঃ

মুখে দুর্গন্ধ বিভিন্ন কারনে হতে পারে যেমন নির্দিষ্ট কিছু খাবার,মুখগহ্বর এর অবস্থা বা কিছু বদ অভ্যাস।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক নিয়মে মুখের নিয়মিত যত্ন নিলে এবং পরিস্কার রাখলে মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে?

যদি নিয়মিত মুখের যত্ন নেওয়ার পরেও মুখের দুর্গন্ধ দূর না হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।মুখের দীর্ঘস্থায়ী দুর্গন্ধ দূর করতে হলে প্রথমে এর পিছনে লুকিয়ে থাকা কারন খুঁজে বেড় করতে হবে।

মুখে দুর্গন্ধ এর কারনঃ

•খাদ্যকণাঃ মুখে জমে থাকা খাদ্যকণা মুখে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করে মুখে দুর্গন্ধ সৃস্টি করে।নির্দিষ্ট কিছু খাবার যেমন পেয়াজ,রসুন মুখে দুর্গন্ধ সৃস্টি করে।

•মুখগহ্বরের অযত্নঃ নিয়মিত দুইবার দাত ব্রাশ না করলে এবং ডেন্টাল ফ্লস ব্যাবহার না করলে দাঁতের মাঝে খাদ্যকণা জমে থেকে মুখে দুর্গন্ধ সৃস্টি করে। কৃত্রিম বাঁধানো দাঁতের পাটি নিয়মিত খুলে পরিস্কার না রাখলে এতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।

•বদ অভ্যাসঃ তামাক,সিগারেট এবং অন্যান্য নেশা জাতিয় দ্রব্য মুখে দুর্গন্ধ করে এবং মুখে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

•ড্রাই মাউথঃ মুখের লালার পরিমাণ কমে যাওয়া কে জেরোস্টোমিয়া বলে।মুখের লালা মুখ পরিস্কার রাখে। মুখে লালার পরিমাণ কমে গেলে মুখ তার প্রকৃতিক নিয়মে পরিস্কার হতে পারে না এবং মুখে দুর্গন্ধ হয়। ড্রাই মাউথ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সকালে মুখে বাজে দুর্গন্ধের হওয়ার জন্য দ্বায়ী।

•মুখ গহ্বর এর রোগঃ মুখে ইনফেকশন বা মুখের সার্জারী পরবর্তী সময়ে মুখে দুর্গন্ধ সৃস্টি হয়।

•অন্যান্য শারীরিক সমস্যাঃ বিভিন্ন প্রকার শারীরিক সমস্যা মুখে দুর্গন্ধ এর কারন হতে পারে। টনসিলের বা সাইনাসের সমস্যা অথবা বিভিন্ন প্রকার ক্যান্সার,ডায়বেটিস বা কিডনি রোগ,গেস্ট্রিক রিফ্লাক্স এর জন্যও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।

মুখে দুর্গন্ধ দূর করতে করণীয়ঃ

১)নিয়মিত ২ বার সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা।

২)ফ্লোরাইড সমৃদ্ধ টুথপেষ্ট ব্যাবহার করা।

৩)এন্টি ব্যাকটেরিয়াল মাউথওয়াশ বা সুগার ফ্রী মিন্ট ব্যাবহার করা।

৪)প্রতিদিন একবার টাং ক্লিনার বা টাং স্ক্রেপার দিয়ে জিহবা পরিস্কার করা।

৫)দাঁতের মধ্যে জমে থাকা খাদ্যকণা ইন্টারডেন্টাল ব্রাশ এবং ফ্লোস দিয়ে পরিস্কার করা।

৬)নিয়মিত ডেন্টিস্ট এর পরামর্শ নেওয়া।

৭)সিগারেট এবং অন্যান্য নেশা জাতিয় দ্রব্য পরিহার করা।

৮)অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার এবং পানীয় পরিহার করা।

৯)বাধানো দাঁতের পাটি নিয়মিত পরিস্কার করা।

 

 

লিখেছেন,

ডা ফেরদৌসি রশিদ

বি ডি এস